Menu Sliding loi bai hat Search

Video ১ টাকার কয়েন পানিতে ভাসলেই ৫ কোটি টাকা!?

Ca sỹ: BypasWay

159,785 Lượt xem

Mô Tả

Please watch: "এলিয়েনের কাছে বাংলা ভাষায় বার্তা"
https://www.youtube.com/watch?v=yUBQI2Su96c
-~-~~-~~~-~~-~-


ধাতব মূদ্রা পানিতে ভাসলেই টাকা! লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা! কত নেবেন, কত নিতে পারবেন! রুম ভর্তি টাকা! যা নিতে পারবেন তুলে নিয়ে আসবেন! শুধু মূদ্রা পানিতে ভাসলেই হলো!’ এ ভাবেই একজনকে বলছিলেন ক্রেতার নিয়োগ করা কেমিস্ট।


জবাবে তিনি বলছিলেন, টাকা নেওয়ার ব্যবস্থা হবে। প্রয়োজনে ইউরো নেবো। বহনে সুবিধা হবে। এক বান্ডিলে অনেক টাকা হবে।
তখন কেমিস্ট বলছিলেন, আর একটা কাজ করতে পারেন। আমরা বিদেশি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করে দেবো। কার্ড দিয়ে টাকা তুলবেন। প্রয়োজনে এদেশে নাই-বা থাকলেন। টাকা হলে কি আর দেশে থাকার দরকার আছে? ইতালি বা আমেরিকায় থাকবেন।


এই প্রতিবেদক মাত্র একবারই সেই কেমিস্টের সাক্ষাৎ পেয়েছেন। পরে তাকে আর পাওয়া যায় নি। তিনি একজন ক্রেতার অধীনে ৬০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করেন।


সেই কেমিস্টের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধাতব মূদ্রা বলতে বোঝায় কয়েন। এখন আমাদের দেশে এক, দুই ও পাঁচ টাকার কয়েন রয়েছে। এই কয়েন বিক্রি করা যায় না। বিক্রির জন্য কিছু বিশেষ কয়েন এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্যের দরকার।


জানা যায়, ১৭১৭, ১৮১৮ ও ১৮৩৯ সালের কয়েন বিক্রি হয়। এতে বটগাছ, উস্তেলতা, জোড়া ডাব, খেজুরগাছ ও রানী মার্কা থাকে। কয়েন হতে পারে তামার বা রূপার। অবশ্যই সেই কয়েন হতে হবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এবং তাতে আরবি, ফার্সি বা উর্দু লেখা থাকলে চলবে না।


কেমিস্টের ভাষ্যমতে, এই ধরনের একেকটি কয়েনের দাম ৫ কোটি টাকা থেকে ৫শ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে দাম নির্ভর করে কয়েনটি পানিতে ছেড়ে দিলে ভাসে কি না তার ওপর। কোন কয়েন কতো তাড়াতাড়ি ভাসলো আর কতক্ষণ ভেসে থাকলো তা দেখা হয়। যত কম সময়ে ভেসে উঠবে তত বেশি দাম হবে। পানিতে ভাসার পরীক্ষাও করা হয় বিশেষ কায়দায়।


এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে কাঁচের বোতল বা জার ব্যবহার করা চলে না। প্লাস্টিকের বোতল কেটে তাতে পানি ঢেলে সেই পানিতে কয়েনটি ছাড়া হয়। ২০ মিনিটের মধ্যে সেটি ভেসে উঠলে বুঝতে হবে এর কার্যকারিতা আছে। আর না ভাসলে কার্যকারিতা নেই। ২০ মিনিট সময়ের আগেও ভেসে উঠতে পারে। যদি কয়েনটি পিতল, কাসা বা লোহায় তৈরি কোন পাত্রে দীর্ঘদিন রক্ষিত থাকে তাহলে এর কার্যকারিতা লোপ পায় এবং তা ভেসে উঠে না।


এটা হল প্রাথমিক পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় টিকে গেলে অর্থাৎ কয়েন পানিতে ভেসে উঠলে তার ছবি তুলে ক্রেতার কাছে পাঠানো হয়। সেখানে বাকি পরীক্ষা করা হয়। ওজনেরও একটা পরীক্ষা রয়েছে। এ ছাড়া কয়েনের উপর চিনি রাখলে চিনি গলে যায় কিনা সেটাও লক্ষ্য করা হয়।


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কেবল ১৮১৮ সালের কয়েনে যদি বটগাছ মার্কা থাকে তাহলে সেটা পানিতে না ভাসলেও বিক্রি করা যায়। এর দাম মেলে দুই থেকে চার লাখ টাকা।


জাগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান বলেন, ‘এই কয়েন কি কাজে ব্যবহার করা হয় তা সঠিকভাবে জানা নেই। দামী কোন গহনা তৈরিতে ব্যবহার করা হতে পারে।’

Video cùng người đăng